Home » বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ ইরাক

বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ ইরাক

অনলাইন ডেস্ক : ইরাকে বেশ কয়েকটি শহর সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অচল হয়ে পড়েছে। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ গতকাল রবিবারও উত্তাল ছিল রাজধানী বাগদাদ। শুক্রবার এক দিনেই ৪২ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। গতকাল পর্যন্ত সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ জনে। এ ছাড়া কয়েকশ লোক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। খবর আলজাজিরা।

বাগদাদের তাহরির স্কয়ারে গতকাল শত শত ইরাকি সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দেয়। তারা প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের কর্তাব্যক্তিদের পদত্যাগ চাইছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক বর্তমানে বেকার সমস্যা, খাদ্য, পানি ও বিদ্যুতের সংকটে ভুগছে। এর প্রতিবাদে দেশটিতে বিক্ষোভ জোরালো হয়েছে। একজন বিক্ষোভকারী সাংবদামাধ্যম এএফপিকে বলেছেন, আমরা গোটা সরকারের পদত্যাগ চাই। আমরা তাদের একজনের পদত্যাগ চাই না। শুধু প্রধানমন্ত্রী না বা শুধু স্পিকার না, আমরা চাই এই সরকারের পতন হোক।

বাগদাদের বিক্ষোভে দেখা গেছে, ছাত্ররা বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে। আন্দোলনকারীদের একজন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দরজা বন্ধ করে রেখেছে যেন শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে যোগ দিতে না পারে। এর আগে শনিবার ইরাকের বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ দমনে কারফিউ জারি করা হয়েছিলÑ ওইদিন কারফিউ উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসে।

এদিকে সহিংসতা অব্যাহত থাকায় শনিবার রাতে দেশটির অভিজাত কাউন্টার টেররিজম সার্ভিসের (সিটিএস) সদস্যদের বাগদাদ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাসিরিয়ায় রাস্তায় নামার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মাহদি। প্রতিবাদ থামাতে তাদের ‘প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে।

শনিবার বাগদাদে নিরাপত্তাবাহিনীর ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের ক্যানিস্টার সরাসরি মাথায় আঘাত করার পর চার বিক্ষোভকারী নিহত ও আরও বহু আহত হন। নাসিরিয়ায় স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তার বাড়িতে হামলার সময় রক্ষীদের গুলিতে আরও চার বিক্ষোভকারী নিহত হন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর আগে শুক্রবার ইরাকজুড়ে বিক্ষোভের সময় সহিংসতায় অন্তত ৫২ জন নিহত হন এবং দুই হাজারেরও বেশি লোক আহত হন। এর আগে চলতি মাসের প্রথম দিকে কয়েক দিন ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে প্রতিবাদকারীদের সংঘর্ষে ১৫৭ জন নিহত হয়।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *