গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করে। একইভাবে কোনও ফিচার গ্রাহকদের ক্ষতির কারণ হলে সেটি সরিয়েও নেয় তারা। এবার তেমনই কাজ করলো ইনস্টাগ্রাম।
ব্যবহারকারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হওয়ায় অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর)ফিল্টার ফিচারটি সরিয়ে নিয়েছে ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ। এই ফিচার নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
ভারতীয় প্রযুক্তিভিত্তিক গণমাধ্যম গেজেটস নাউয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এআর ফিল্টার ফিচারটি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের মধ্যে কসমেটিক সার্জারির প্রতি প্রবণতা বাড়াচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণেই মূলত এটি সরিয়ে নেওয়া হলো।
এআর ফিল্টার ইফেক্ট ব্যবহারের মাধ্যমে ছবিকে কৃত্রিমভাবে বিকৃত করা হয়। এর মাধ্যমে ঠোঁটে ইনজেকট করা, মুখের অবয়ব বদলসহ বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আনা যেত। ফলে অনেক ব্যবহারকারী বাস্তবে এগুলো করতে চেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এ ধরনের ফিচার বন্ধ করে দিয়েছে ইনস্টাগ্রাম।
গবেষকদের মতে, মুখের অবয়ব পরিবর্তন করার এই ফিচারটি মানুষের মনে তার চেহারা সম্পর্কে এক ধরনের নেতিবাচক অনুভূতি তৈরি করতে পারে। আর এটা থেকে যেকোনও ধরনের ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
ফিচারটি সরিয়ে নেওয়া সম্পর্কে ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ জানায়, গ্রাহকদের ভালোর কথা মাথায় রেখে এই এআর ফিল্টার ফিচারটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে গ্রাহকরা উপকৃত হবেন।
এ সম্পর্কে ইনস্টাগ্রামের এক মুখপাত্র জানান, ফিল্টার যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী তারা। গত ফেব্রুয়ারিতেই নিজেদের প্ল্যাটফর্মে সব ধরনের ক্ষতিকর গ্রাফিক কনটেন্ট মুছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল ইনস্টাগ্রাম।
বার্তা বিভাগ প্রধান