অনলাইন সংস্করণ: জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার দেওড়া আশ্রয়ন কেন্দ্র’র গৃহবধূ তিন সন্তানের জননী আরতি রাণী মহন্ত (৩৫) কে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাত অসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় সকালে সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক ড.এ.বি.এম মাহমুদুল হক। একই সাথে দুজনের পাঁচ লক্ষ এবং পাঁচ জনের এক লক্ষ টাকা করে জড়িমানা করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ওই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আক্কেলপুর উপজেলার মারমা গ্রামের সোহেল তালুকদার (২৭), দেওড়া সোনারপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেন (৫০), দেওড়া গুচ্ছগ্রামের রাহিন (২৪), দেওড়া সাখিদার পাড়ার ফেরদৌস আলী সাখিদার (৪৪), দেওড়া সোনারপাড়ার মজিবর রহমান (৪৪), জগতি গ্রামের রুহুল আমীন (৩৭) ও দেওড়া গুচ্ছগ্রামের আজিজার রহমান (৫২) ।আদালত সুত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর রাতে দেওড়া আশ্রয়ন কেন্দ্র’র উজ্জল মহন্তের স্ত্রী আরতী রাণীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসামীরা গণধর্ষণ করে এবং তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
আরতিকে রাতে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে যাবার সময় উজ্জল মহন্ত তার বড় ছেলেকে নিয়ে ব্যবসার কাজে চট্টগ্রাম অপর পুত্র নানার বাড়ীতে যাওয়ায় ৫ম শ্রেণেতে পড়ুয়া কন্যা অর্চনাকে নিয়ে বাড়ীতে ছিলেন । এ ঘটনায় ১০ অক্টোবর আরতী রাণীর স্বামী উজ্জল মহন্ত বাদী হয়ে সাত জনকে আসামি করে আক্কেলপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় দীর্ঘ শুনানীর পর জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক সকল আসামির মৃতুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।
একই সাথে আসামি সোহেল ও ফেরদৌস এর ৫ লাখ টাকা জড়িমানা ও অন্য সকলের ১ লাখ টাকা করে জড়িমানারও আদেশ দেন।সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী ফিরোজা চৌধুরী এবং বাদী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম সহ ৫জন।
প্রতিনিধি