শারদীয় দুর্গোৎসবের আজ বিজয়া দশমী। দুর্গোৎসবের শেষ দিন। বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দুর্গা। পেছনে ফেলে যাবেন ভক্তদের পাঁচদিনের আনন্দ-উল্লাস, আরাধনা এবং বিজয়াশ্রু। তাই মণ্ডপে মণ্ডপে এখন বিষাদের সুর। পুরাণ অনুসারে, দুর্গা যেমন অসুরবিনাশী দেবী তেমনি তিনি দুর্গতিনাশিনী। যিনি জীবের দুর্গতি নাশ করেন।তিনি এবার এসেছেন ঘোড়ায় করে। দেবী দুর্গা অসুরদের দলপতি মহিষাসুরকে বধ করে দেবকুলকে রক্ষা করেছিলেন। তাঁর এই জয়ের মধ্য দিয়ে অন্যায় ও অশুভর বিরুদ্ধে ন্যায় ও শুভশক্তির জয় হয়েছিল।
তবে আজ সব মণ্ডপেই থাকবে বিষাদের সুর। কারণ, আজ বিজয়া দশমীর দিনে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দুর্গা। পেছনে ফেলে যাবেন ভক্তদের পাঁচ দিনের আনন্দ-উল্লাস আর বিজয়ার অশ্রু।শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হয় পাঁচ দিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। প্রতিবারের মতো মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী ও মহানবমীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার নারী-পুরুষ ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠান পালন করেছেন।
সিলেট মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদর সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত জানান, এবার সিলেটে ৬০৮টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সিলেট নগরীতে এবার ৬৬টি মন্ডপে পূজা উদযাপন করা করা হবে। তন্মধ্যে ৫১টি মন্ডপ সর্বজনীন, ১৫টি পারিবারিক।সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় মন্ডপে আছে ৫৪২টি। তন্মধ্যে সর্বজনীন ৫০৩টি, পারিবারিক ৩৯টি। গেল বছর সিলেটে ৫৯৮টি মন্ডপে পূজা উদযাপন করা হয়। এ হিসেবে এবার মন্ডপে বেড়েছে ১০টি।নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেসব নির্দেশনা দিয়েছে, পূজারীরা হৃষ্টচিত্তে মেনে নিয়েছেন। এভাবে ভবিষ্যতে এ দেশের সব ধর্মের ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষ নিজ নিজ উৎসব উদ্যাপন করবে। উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য আরও শক্তিশালী হবে।