সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের। তবে পাইকারিতে কমলেও খুচরাবাজারে এখনো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর নিউমার্কেট, শান্তিনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়।
কিন্তু রাজধানীতে পেঁয়াজের বড়ো পাইকারিবাজার শ্যামবাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা ও আমদানিকৃত মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৫৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ও মিশরের পেঁয়াজ ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই হিসেবে পাইকারিবাজারের তুলনায় খুচরায় পেঁয়াজের দামের ব্যবধান অনেক।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সারাদেশে পেঁয়াজের অবৈধ মজুত ও কারসাজি করে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। যাদের কাছে দেশি পেঁয়াজের মজুত ছিল তা ছেড়ে দিচ্ছে। এছাড়া মিয়ানমার ও মিশর থেকেও এখন পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। ভারত থেকে রপ্তানি বন্ধের আগের এলসি করা পেঁয়াজও আসছে।
গতকাল শ্যামবাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, আড়তগুলোতে পেঁয়াজের ব্যাপক সরবরাহ। কিন্তু সে অনুপাতে ক্রেতা নেই। পেঁয়াজ আমদানিকারক ও শ্যামবাজারের আড়তদার নারায়ণ চন্দ্র রায় গতকাল ইত্তেফাককে বলেন, বাজারে এখন পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। ভারত হঠাত্ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় সাময়িক সে সমস্যা তৈরি হয়েছিল তা কেটে গেছে। এখন মিয়ানমার ও মিশর থেকে প্রচুর পেঁয়াজ আসছে। দেশি পেঁয়াজের বাজারে সরবরাহ ভালো। তবে বাজারে কয়েকদিন আগেও পেঁয়াজের যে চাহিদা ছিল এখন তা নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে পাইকারিবাজারে পেঁয়াজের যে দাম তা থেকে খুব একটা কমার সম্ভাবনা নেই। তবে মাসখানেকের মধ্যে পেঁয়াজের দর আরো কমবে।
প্রতিনিধি