বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। ফলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নতুন করে আর কোন এলসির বিপরীতে ভারত থেকে কোন পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা। এদিকে ভারত সরকারের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের হঠকারি সিদ্ধান্তে ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক হারুন উর রশিদ ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে জানান, পেঁয়াজ সংকটের অজুহাতে ভারত সরকার বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজ রফতানি পুরপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। এসংক্রান্ত নির্দেশনা পাওয়ার পর ভারতের কাস্টমস কর্মকর্তারা বেলা ৪টা থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানি পুরপুরি বন্ধ করে দিয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক নাজমুল হক চৌধুরী জানান, পূর্বের টেন্ডার হওয়া এলসির বিপরিতেও কোন পেঁয়াজ রফতানিতে অনুমতি দিচ্ছেনা ভারতের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। যদিও আজ রোববার দিনের প্রথমদিকে এবন্দর দিয়ে ১৫টি ট্রাকে প্রায় সাড়ে ৩০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। ভারত সরকারের এ হঠকারি সিদ্ধান্তে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে দেশের পেঁয়াজ আমদানিকারকদের।
এদিকে ভারত সরকারের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণায় বন্দরে পেঁয়াজের দাম এক লাফে ১৫ থেক ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল হিলি স্থলবন্দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৮ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হলেও আজ রোববার তা বেড়ে ৬৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অনেক আমদানিকারক পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে আরো বেশি দাম পাবার আশায়।
প্রতিনিধি