ডেস্ক নিউজ : সুরমা নদী ও তার আশপাশে বর্জ্য-আবর্জনা ফেলা বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া এ নদীতে বর্জ্য ফেলার মাধ্যমে পানি ও বায়ুদূষণ বন্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রুল জারি করেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, নৌ-পরিবহন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, শিল্প সচিব, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদফতর মহাপরিচালক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ২৭ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সুরমা নদীতে বর্জ্য ফেলার মাধ্যমে পানি ও বায়ুদূষণ নিয়ে ‘সিলেটে সুরমায় দূষণ, নদী না ভাগাড়’- শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে গত ৩১ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন যুক্ত করে জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেট নগরীর কালীঘাট থেকে টুকেরবাজার, একইভাবে কালীঘাট থেকৈ দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই এলাকা পর্যন্ত সর্বত্রই যেন আবর্জনা ভাগাড়। আবর্জনা ডাস্টবিনে না ফেলে সরাসরি ফেলা হচ্ছে সুরমায়। এখন সুরমা নদীর উপরিভাগ যেন আবর্জনার দখলৈ। আবর্জনার কারণে নদীতে পানি আছে কি-না সেটি সঠিকভাবে বোঝা যায় না। অনেক স্থানে আটকে আছে আবর্জনা। সেই আবর্জনার পুরুত্ব এতই বেশি যে, শক্ত কাঠি দিয়েও নিচের দিকে নামানো যায় না। অনেক স্থানে লোকজনকে আবর্জনা ওপর দিয়ে যেতে দেখা যায়।
নির্বাহী সম্পাদক