অনলাইন ডেস্ক: বিয়ের মাত্র ২০ দিনের মাথায় স্ত্রীকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে দুহাত বেঁধে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শাহীন (৩৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার শাকপালা দীঘিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।নিহতের নাম নূরজাহান বেগম (৩০)। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার দাইমুল্যা গ্রামের সাবাস সাকিদারের মেয়ে।
গ্রেপ্তার শাহীন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ওয়ার্ডবয় হিসেবে কাজ করেন। ঘটনার দিন রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে শহরের থানা মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বাবার নাম দৌলত জামান। তারা বগুড়া সদর উপজেলার কদিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
এদিকে শাহীন-নুরজাহানের ঝগড়ার পর হঠাৎ তারা চুপ হয়ে যাওয়ায় প্রতিবেশীদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তারা খবর দিলে রাত ১১টায় পুলিশ এসে নুরজাহানের লাশ উদ্ধার করে।শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মা আছুবা বেওয়া বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার দুপুরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৬ আগস্ট শাহীন ও নুরজাহানের বিয়ে হয়। বিয়ের পরই শজিমেক হাসপাতালের পাশে শাকপালা দীঘিরপাড় এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন তারা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ক্ষোভে শাহীন প্রথমে তার স্ত্রীকে চেতনানাশক ওষুধ সেবন করান। নূরজাহান জ্ঞান হারালে তার দুই হাত বেঁধে গলাকেটে হত্যা করেন। পরে লাশ ঘরে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যান শাহীন।
প্রতিনিধি