ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর মো. আবেদ হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি অভিযোগ এনে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।হস্পতিবার দুপুরে ধানমণ্ডিতে সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান, জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক, এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হরি দেবনাথসহ অন্য তদন্ত কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।এটি তদন্ত সংস্থার ৭৩তম তদন্ত প্রতিবেদন উল্লেখ করে হান্নান খান বলেন, আবেদ হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, নির্যাতন ও জোরপূর্বক শ্রম আদায়ের মত অপরাধের তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।“১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে আবেদ হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী এলাকায় এসব অপরাধ করে। সে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক।“মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি আর্মি ও রাজাকারদের অবস্থানের খোঁজ-খবর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের জানানোর অপরাধে পাবেদ আলী, দুমপেল ও মজনুকে আটক করে পাকিস্তানি আর্মিদের হাতে তুলে দেয় রাজাকার আবেদ হোসেন। পরে এই তিনজনকে বালিয়াডাঙ্গীর তীরনই পাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।”এছাড়াও, আবেদ হোসেন ও তার সহযোগী রাজাকাররা স্থানীয়দের ধরে নিয়ে জোড় করে শ্রম আদায়, আটক, নির্যাতন করেন বলে উল্লেখ করেন হান্নান খান।তদন্ত কর্মকর্তা হরি দেবনাথ বলেন, গত বছরের ২৯ জুলাই মামলাটির তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে ১৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।মোট ৮১ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটি দ্রুত ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে জমা দেওয়া হবে জানান তিনি।
নির্বাহী সম্পাদক