সোমবার সকালে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।অধিবেশন শুরুর আধাঘণ্টা আগেও সংসদে আসার ছাড়পত্র পাননি মন্ত্রীরা। কারণ পুরো ঘটনাই গোপন রাখা হয়েছে। খবর এডিটিভির। গোপনীয়তা শব্দটি যেন নরেন্দ্র মোদি সরকারের সঙ্গে সমার্থক হয়ে উঠেছে। বিজেপির একাধিক এমপিই বলছেন, শনি ও রোববারের ছুটি বাতিল করে কেন এমপিদের প্রশিক্ষণ শিবিরে ডাকা হয়েছিল, তা তারা তখন ক্ষুণাক্ষরেও টের পাননি।
এক মন্ত্রী বলেন, আসলে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চাইছিলেন যেন মন্ত্রীরা সবাই দিল্লিতেই থাকেন। সাধারণত শুক্রবার হলে সাংসদরা নিজেদের নির্বাচনী কেন্দ্রে ফিরে যান।আর সোমবার দিল্লি পৌঁছাতে অনেকের দেরি হয়। আমাদের দিল্লিতে রেখে দেয়া হয়েছে যেন সোমবার সকালে সবাই হাজির থাকতে পারি।সোমবার অমিত শাহ সংসদে আসার কিছুক্ষণ পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ আসেন। এর পর আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাকি মন্ত্রীরা একেবারে শেষ মুহূর্তে উপস্থিত হন।
এক মন্ত্রী এক গাল হেসে বলেন, এমনটি যে হবে, সেটি সকাল সাড়ে ৮টার আগেও ঘুণাক্ষরে জানতে পারিনি। ১১টা পর্যন্ত কাউকে বলা নিষেধ ছিল। বিলে ঠিক কী কী আছে, তার খুঁটিনাটি অবশ্য এখনও জানি না।প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জম্মুর ‘বড়’ নেতা হিসেবে পরিচিত। সোমবারও সাংসদদের কর্মশালায় ছিলেন তিনি। কিন্তু এক ধাক্কায় ৩৭০ ধারা বাতিল করে দেয়া হবে, সেটা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি।
তিনি বলেন, ভেবেছিলাম বড়জোর ৩৫-এ অনুচ্ছেদ সরানো হতে পারে। সংসদে সংবিধান সংশোধনী বিল এনে, দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের সমর্থন ছাড়াও যে অন্য পথে ৩৭০ অনুচ্ছেদ তোলা যেতে পারে, সে ব্যাপারে কোনো ধারণা ছিল না।কয়েক দিন ধরেই জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানো হয়েছে, অমরনাথ যাত্রী ও পর্যটকদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, অজিত ডোভালরা ঘন ঘন বৈঠক করেছেন।
উপত্যকার নেতাদের যখন গৃহবন্দি করা হয়, তখনই কাশ্মীর নিয়ে ‘কিছু একটা হচ্ছে’ এটি আঁচ করতে পারছিলেন সবাই।কিন্তু রাষ্ট্রপতি বিদেশ সফর শেষ করে দেশে ফিরেই যে কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করবেন, সেটিই ভাবনার বাইরে থেকে গিয়েছিল শাসক দলের বড় অংশেও।
সূত্র: যুগান্তর
প্রতিনিধি