অনলাইন ডেস্ক : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাসের পর মাস এক কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন তারই আপন খালাতো ভাই। এর একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয় কিশোরী। কিন্তু বিয়ে করার কথা বললে বিভিন্ন অজুহাতে এড়িয়ে যান তিনি। একসময় ভুক্তভোগী কিশোরী মেয়ে সন্তান জন্ম দিলে সন্তানের পিতৃ পরিচয় দিতে অস্বীকার করেন ওই যুবক। কিশোরী কোনো উপায় না পেয়ে গত শনিবার ওই সন্তান নিয়ে হাজির হন পটুয়াখালীর বাউফল থানায়।
অভিযুক্ত যুবকের নাম মনির মৃধা (২৪)। তিনি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার কালাম মৃধার ছেলে। ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর সংসারের হাল ধরতে নারায়ণগঞ্জের জননী গার্মেন্সে চাকরি নেয় সে। এ সময় তার আপন খালাতো ভাই মনির মৃধা তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এর ফলে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হলে মনিরকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু নানা অযুহাতে মনির কাল ক্ষেপন করতে থাকেন। এমনকি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়ও মনির তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখেন বলেও ওই কিশোরী অভিযোগ করেন।
গত ৩০ জুলাই ওই কিশোরী একটি মেয়ে সন্তান জন্ম দেয়। এরপর তাকে স্ত্রীর সম্মান দিতে এবং নবজাতকের পিতৃ পরিচয় দেওয়ার জন্য মনিরকে আবার চাপ দেয় সে। কিন্তু মনির তাকে বিয়ে করবেন না এবং সন্তানেরও পরিচয় দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এরপর ওই কিশোরী স্ত্রীর সম্মান এবং সন্তানের পিতৃ পরিচয় পেতে বাউফল উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম ফয়সাল আহম্মেদের শরণাপন্ন হয়। চেয়ারম্যান ওই কিশোরীকে নিয়ে বাউফল থানা পুলিশের দারস্থ হলে কিশোরী একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে জানতে মনির মৃধার মুঠোফোনে বারবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি জেলা সদরে আছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি