ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে কার্যকর ওষুধ যেন প্রয়োগ করা যায়, সেজন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
এডিস মশা নিধনে কবে নাগাদ কার্যকর ওষুধ আসছে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খুব শিগগিরই আমরা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কার্যকর ওষুধ আমদানি করব। আমরা এখন যাচাই-বাছাই করছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।’ সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘অন্য দেশের অকার্যকর ওষুধ যাতে আমাদের দেশে না এসে পড়ে, সেজন্যই আমরা অতি সতর্কভাবে যাচাই-বাচাই করছি। এজন্য একটু দেরি হচ্ছে।’
ডেঙ্গু এখন মহামারির পর্যায়ে পৌঁছেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডেঙ্গু জ্বর এখন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আমরা বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াসলি কাজ করছি। বিদেশে চিকিৎসাধীন প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন। আমরা সবাই কাজ করছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, এই সংকটময় মুহূর্তে কেউ কেউ আছেন, যাঁরা ফটোসেশন আর লিপ সার্ভিস দিয়ে বেড়াচ্ছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং বন্যা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে তারা শুধু ফটোসেশন করে চলেছেন।’
দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, অন্যান্য দলের নেতাকর্মী ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আসুন আমরা সমন্বিতভাবে এ সংকট মোকাবিলায় জনগণের পাশে দাঁড়াই। জনগণ আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে বেশি কথা বলার জন্য নয়। জনগণ আমাদের কাজকে মূল্যায়ণ করবে, কথাকে নয়। তাই আসুন, বেশি কথা না বলে ও লিপ সার্ভিস না দিয়ে কাজ করি।’ এর আগে দলের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে জনগণকে সচেতন করে তুলতে প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।
প্রতিনিধি