Home » ডেঙ্গু নিয়ে যা বলল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

ডেঙ্গু নিয়ে যা বলল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রাদুর্ভাব ও ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে-এমন বিষয়ে সিটি করপোরেশনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ সোমবার মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. সানিয়া তাহমিনা ঝরা একথা বলেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বশেষ প্রস্তুতি জানাতে এই সংবাদ সম্মলেনের আয়োজন করা হয়।ডা.সানিয়া তাহমিনা ঝরা বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা ধারণা করতে পেরেছিলাম। ডাক্তারদেরকে ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই সতর্ক করা হচ্ছিল, যাতে তারা ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিতে পারে।

তবে মার্চ মাসে তারা ঢাকায় এডিস মশার বিষয়ে একটি জরিপ করেন। তখনই সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে রাখা হয়েছিল বলে জানান তিনি।ডা. সানিয়া বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার বাইরে ৬১১ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি জেলাশহরে ডেঙ্গু টেস্ট কিট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’  তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষের মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা কেন জানা যাচ্ছে না-এমন প্রশ্নের উত্তর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই চিকিৎসক বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে বার বার বলার পরেও তাদের অনেকে তালিকাগুলো দেয়নি। তারা ডেঙ্গু রোগী সামলাতে গিয়ে অনেক চাপে আছেন হয়ত।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডেঙ্গু পরীক্ষায় বেঁধে দেওয়া ফি ঠিকমত আদায় হচ্ছে কিনা- সে বিষয়ে নজরদারি করতে অধিদপ্তরের ১০টি দল সোমবার থেকে মাঠে নেমেছে। পাশাপাশি প্রতিটি হাসপাতালে ‘ডেঙ্গু কর্নার’ এবং বিষয়টি তদারকি করার জন্য একজন ফোকাল পয়েন্ট নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৮২৪ জন ডেঙ্গু রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের শুরু থেকে রোববার পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১ হাজার ৬৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *