Home » সিলেটে যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ

সিলেটে যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ

যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় খাদিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট আফছর আহমদ ১৬ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই ইউনিয়নের বাহুবল এলাকার দিপু দেবনাথের ছেলে সত্যজিৎ দেবনাথ সেতু বাদি হয়ে মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শাহপরান (র.) থানাকে মামলা রেকর্ড করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। অবশ্য বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ১২টার দিকে যোগাযোগ করা হলে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, আদালত থেকে কোনো মামলার কাগজপত্র আসেনি।

মামলায় যুবলীগ নেতা চেয়ারম্যান আফছর আহমদ ছাড়াও এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা হলেন, ওই ইউনিয়নের দত্তগ্রামের ইমরান সরকারের ছেলে আতিক হাসান ডালিম (২৫), কল্লগ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে জামাল আহমদ (২৩), একই গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে ফখরুল ইসলাম দুলু (৩৫), লালখাটঙ্গীর ফজল মিয়ার ছেলে বদরুল ইসলাম (৩৩), একই গ্রামের আলী (২৫), দাসপাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে বাবুল আহমদ (৩৩), রুস্তুমপুরের মৃত চুনু মিয়ার ছেলে সাহেদ আহমদ আনা (৩০), ঘাটেরচটি গ্রামের মৃত ইসমাইল আলীর ছেলে ইউনুছ মিয়া (৪০), পশ্চিমভাটপাড়ার আব্বাস আলীর ছেলে লিটন (২৫), ইসলামপুরের করিম (২৬), মুকিরপাড়ার আতিক হাসানের ছেলে সোহেল ওরফে টমেটো সোহেল, একই গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে ফয়ছল আহমদ (২৭) ও রুকন মিয়ার ছেলে লিমন আহমদ (২৬), তালেপাড়ার সিরাজ মিয়ার ছেলে স্বপন (২৫), পীরের বাজারের মৃত আতিব আলীর ছেলে ফরিদ আহমদ (২৫)।   

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামিগণ হাতে থাকা লাঠি ও হকিস্টিক দিয়ে তাকে বেধড়ক পিঠিয়ে আহত করে। আসামিদের আঘাতে তার ডান হাত প্রায় অচল হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়ায় যুবলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, গোলাগুলি, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে চার পুলিশসহ অন্তত; ১০ জন আহত হয়েছেন। সিলেট জেলা যুবলীগের সম্মেলনে একই পদে প্রার্থী হওয়া নিয়ে যুবলীগ নেতা এডভোকেট আফছর আহমদ ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি দোকান ও ভাঙচুর করা হয় ৮টি ট্রাক এবং একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। আগুন দেওয়া হয় পুলিশের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ ৩টি মোটরসাইকেলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে। এসময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। রাতে গাড়ি ভাঙচুররর ঘটনায় সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করেন ট্রাক শ্রমিকরা।

এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই পুলিশ আক্রান্তের ঘটনায় যুবলীগের ৭৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতার করা হয় ৯ জনকে।

সুত্র: নিউজমিরর২৪

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *