সিলেট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১২ জুন) সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এই আইন সম্পর্কে প্রত্যন্ত অঞ্চলের তৃণমূল মানুষের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারণা জোরদার করার উপর গুরুত্ব দেন। বিশেষ করে জনবহুল এলাকা তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,অফিস -আদালত ,হাসপাতাল ও হাট-বাজারে প্রকাশ্যে ধূমপান করা এবং ১৮ বছরের কম বয়সী কারোর জন্য ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা যে আইনত নিষিদ্ধ এ বিষয়টি ব্যাপকভাবে সাধারণ মানুষকে বুঝানো দরকার বলে তিনি মনে করেন। তিনি সিলেটের সকল উপজেলায় ধূমপান বিরোধী টাস্ক র্ফোস গঠনের মাধ্যমে নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার উপরও গুরুত্ব দেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট এম আবুল কালামের সঞ্চালনায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যাবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়ন বিষয়ে পৃথক তিনটি নিবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেটের সিভিল র্সাজন হিমাংশু লাল রায়, জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার আশরাফুল হক ও সিভিল র্সাজন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার সুজন বণিক ।
দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সিলেটের সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সিনিয়র সাংবাদিক ও ধূমপান বিরোধী বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন ।
অনুষ্ঠানে আলোচকগণ ধূমপানের পক্ষে একটি শব্দও খুঁজে পাওয়া যাবে না উল্লেখ করে বলেন, এরপরও শুধুমাত্র ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে সমাজের প্রচুর সংখ্যক মানুষ প্রাণসংহারি ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য সেবনে আসক্ত হয়ে পড়ছেন । বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৭ হাজারের বেশি মানুষ ধূমপানজনিত রোগে মৃত্যু বরণ করেন উল্লেখ করে তারা বলেন, ধূমপানকারী ও তামাকজাত পণ্য সেবনকারীরা এ খাতে যে পরিমাণ অর্থ ব্যায় করেন তা খাদ্য ক্রয়ে ব্যায় করলে দেশে অপুষ্ঠিজনিত সমস্যা থাকবে না।
সব পাবলিক প্রতিষ্ঠানে ধূমপান বিরোধী সাইনেজ লাগানো, পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে নিয়মিত মনিটরিং এবং বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল র্কোট পরিচালনা করা জরুরি বলে তারা মন্তব্য করেন।