শুক্রবারের জুম্মার নামাজের পরেই গণ্ডগোল বাঁধল কাশ্মীরের নওহট্টা জেলায়৷ জেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জামিয়া মসজিদে শুক্রবারে নামাজের পর বেরিয়ে আসছিলেন স্থানীয়রা৷ তখনই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে৷
পুলিশ সূত্রে খবর বেশ কয়েকজন যুবক মসজিদের বাইরে জড়ো হয়৷ তারা ভারত বিরোধী শ্লোগান দিতে থাকে৷ সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মী ও সিআরপিএফ জওয়ানদের দিকে পাথরও ছোঁড়া হয়৷ পালটা মার শুরু করে জওয়ানরাও৷
এই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫জন আহত হয়েছেন৷ বিক্ষোভকারী ও পুলিশ সংঘর্ষে মসজিদের সামনে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা৷ পুলিশ জানিয়েছে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগে ৫জন যুবককে আটক করা হয়েছে৷
জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের জেলে বন্দিদের মুক্ত করার দাবি জানানো হয়৷ পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় ও পেলেট গান ব্যবহার করে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য৷ বিক্ষোভ চলাকালীন বেশ কয়েকজন যুবক আইএসের পতাকা প্রদর্শন করে বলে অভিযোগ৷
এদিকে, গতবছরই টাইমস নাওয়ের প্রতিবেদনে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন যুবক কাশ্মীরের মাটিতে দাঁড়িয়ে আইএসের পতাকা ওড়াচ্ছে৷ যা নিয়ে চিন্তার ভ্রূকূটি পড়েছিল প্রশাসনের কপালে৷ জম্মু কাশ্মীরের সীমানায় অন্যতম ভয়ঙ্কর এই জঙ্গি সংগঠনের উপস্থিতির খবর সরাসরি অস্বীকার করেছিল কেন্দ্র৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হংসরাজ আহির বলেছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরে আর কোনও আইএস জঙ্গি সক্রিয় নেই। রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে একথা বলেছিলেন তিনি৷
কিন্তু নভেম্বর মাসে প্রকাশিত এই ভিডিওটিতে আইএসের উপস্থিতির প্রমাণ মেলে৷ দিল্লি পুলিশের হাতেও দুই আইএস জঙ্গি গ্রেফতার হয় বলে খবর মেলে৷ মন্ত্রী হংসরাজ আহির বলেন, আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সমাজবিরোধী কার্যকলাপে জড়িতদের বিরুদ্ধে। যারা আইএস ও পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে গোলমাল পাকায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান