Home » আত্মহত্যার আগে সামাজিক মাধ্যমে যা লিখেছিলেন তমা

আত্মহত্যার আগে সামাজিক মাধ্যমে যা লিখেছিলেন তমা

মিরপুরে বোনের বাসায় গতকাল বুধবার আত্মহত্যা করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী তমা খান । সন্ধ্যায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অনেকে ধারণা করছেন স্বামী নির্মাতা শামীম আহমেদ রনীর পরকীয়ার কারণে এমন পথ বেঁচে নিয়েছেন তমা।

তমার আত্বহত্যার পর শামীম আহমেদ রনীর দিকে সন্দেহের তীর। জানা গেছে পারিবারিক কারণে আত্মহত্যা করার পথ বেছে নিয়েছে তমা। তমার ফেসবুকে থাকা ছবি ও স্ট্যাটাসও সেই কথা বলছে। মৃত্যুর আগে তিনি স্বামী শামীম আহমেদ রনিসহ কয়েকজনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন। আর স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘মরিলে কান্দিস না, আমার দায়!’

তবে আত্মহত্যার আগে প্রিয়জনদের স্মরণ করতে ভুলে যাননি তমা খান। আত্মহত্যার দিনেই তার প্রিয় স্বজনদের নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তমা খানের আত্বহত্যার দিনের স্ট্যাটাসের বিষয়গুলো পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

আত্মহত্যার আগে ৮ মে, বুধবার বিকেল ৩টা ৩৬মিনিটে সর্বশেষ স্ট্যাটাস দেন তমা। স্বামীর সঙ্গে তোলা বেশ কিছু ছবি শেয়ার করে সেখানে লিখেন- ‘মরিলে কান্দিস না আমার দায়!’
এর আগে গত ৭ মে মঙ্গলবার তার বোনের সঙ্গে তোলা সেলফি পোস্ট করে লিখেন ‘প্রিয় বোনেরা’। গতকাল ৮ মে তার প্রিয় বান্ধুবীর কথা তুলে ধরে একগুচ্ছ আবেগী কথা বলেছেন।

এরপর, উহাদের সাথে এককালে ভাল সম্পর্ক ছিল ভাবতেই অবাক লাগে! ক্যাপশন দিয়ে ৩০টির মতো ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে শমী কায়সার, অপি করিম, শাকিব খান, রনিসহ বেশকিছু জনপ্রিয় ব্যক্তিদের ছবি পোস্ট করে তাদের সাথে তার সম্পর্কের বিষয় জানিয়েছেন।

মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অজিত রায় বলেন, রাত ১০টার দিকে সংবাদ পেয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে তমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে হাসপাতাল মর্গে মরদেহ রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘মিরপুর শামীম সরণি এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন তমা। একই বাসায় তার আরও দুই বোন থাকতো। গতকাল বোনেরা বাহিরে ছিল। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে তমাকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় তমা মানসিক অশান্তিতে ভুগছিলেন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *