গত সপ্তাহে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে দেশের বিভিন্ন খাতে মোট ৫৩৬ কোটি ৬১ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ্ কামাল। এর মধ্যে রয়েছে বাড়িঘর, বাঁধ, রাস্তা, ফসল, মাছ, বন ও পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ ও পুনর্বাসন পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ তথ্য জানান তিনি। সচিব জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে ৭৮ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকার। বাঁধের ক্ষতি হয়েছে ২৫১ কোটি টাকার। স্থানীয় সরকার বিভাগের ২৪১ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতে খরচ হবে ১৬১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সচিব বলেন, দুর্যোগে ৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, সেখানে মাছের ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। বন ও পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে ৫ কোটি টাকার। কৃষি বিভাগের ক্ষতি হয়েছে ৩৮ কোটি টাকার।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে শনিবার (৪ মে) সকালে কিছুটা দুর্বল অবস্থায় খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ঢাকা-ফরিদপুর অঞ্চল পেরিয়ে ওইদিন সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি লঘুচাপে পরিণত হয়।
বার্তা বিভাগ প্রধান