রাজধানী ঢাকায় সোমবার (২৯ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হলো মাইক্রোসফট ক্লাউড
ইনোভেশন সামিট। সাড়ে তিনশ’র বেশি ডেভেলপার, উৎপাদন ও আর্থিক সেবাখাতের
ব্যবসায়িক ও প্রযুক্তি বিষয়ক নেতৃবৃন্দ, মাইক্রোসফটের স্থানীয় সহযোগী এবং
মাইক্রোসফট এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ক্লাউড
এক্সপার্টদের উপস্থিতিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো মাইক্রোসফট ক্লাউড ইনোভেশন সামিট। প্রযুক্তি বিষয়ে এ সম্মেলন প্রথমবারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো।
মাইক্রোসফটের
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার উদীয়মান বাজারের প্রেসিডেন্ট সুক হুন চিয়াহ’র
মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে
দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়।
মাইক্রোসফটের লক্ষ্যের ওপর গুরুত্বারোপ
করে সুক হুন বলেন, প্রযুক্তি এমন এক ধরনের মাধ্যমে যা সব বাধা দূর করে সমতা
নিশ্চিত করার মাধ্যমে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উভয়ের ক্ষমতায়নে সহায়ক
ভূমিকা পালন করে। মাইক্রোসফটে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা এন্টারপ্রাইজ গ্রেড
প্রযুক্তি ও সমাধানে সবার সুযোগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে আরও বেশি কিছু অর্জনে
পৃথিবীর প্রত্যেক ব্যক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতায়ন।
সুক হুন
চিয়াহ আরও বলেন, ইন্টেলিজেন্ট ক্লাউড ও এজ ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে
আমরা প্রবৃদ্ধি অর্জনে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা এটিও
বিশ্বাস করি, ক্ষমতায়ন ও ডিজিটাল রূপান্তর অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া উচিৎ তাই,
ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে আমরা সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই।
সম্মেলনে আরও
অনেক বিষয়ে আলোকপাত করা হয় যার মধ্যে ছিল ইন্টেলিজেন্ট বিজনেস সলিউশনস এবং
আধুনিক ব্যবসার ক্ষেত্রে ক্লাউড ভবিষ্যৎ গুরুত্ব। মাইক্রোসফটের ক্লাউড
সলিউশন- মাইক্রোসফট ৩৬৫, ডাইনামিকস ৩৬৫ এবং মাইক্রোসফট অ্যাজুর ব্যবহারের
মাধ্যমে কিভাবে ব্যবসা রূপান্তর করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন এপিএসি ক্লাউড
এক্সপার্টরা।
সম্মেলনের মূল দু’টি সেশন যার একটি হলো বাংলাদেশের উৎপাদন খাত নিয়ে এবং আরেকটি হলো দেশের আর্থিক সেবা খাত (এফএসআই) নিয়ে।
মাইক্রোসফট এসইএএনএম’র চিফ মার্কেটিং অ্য্যান্ড অপারেশনস লিডার জাইদ আলকাধি তার বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে কার্যকরী ও উৎপাদনশীল কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে পারে মাইক্রোসফট ৩৬৫ ব্যবহারের মাধ্যমে। যার ফলে সর্বোচ্চ সুরক্ষাসহ যেকোনও জায়গায় বসে কর্মীরা কাজ করতে পারবেন।
সম্মেলনে মাইক্রোসফট পার্টনারদের নিয়ে একটি এক্সপো জোনেরও আয়োজন করা হয়। যেখানে ছিল আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড, করপোরেট প্রযুক্তি লিমিটেড, ই-জেনারেশন লিমিটেড, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (আইটি ডিভিশন) ও টগি সার্ভিসেস লিমিটেড।