Home » ২০ লাখের বেশি মোবাইল সিম বন্ধ হচ্ছে শুক্রবার

২০ লাখের বেশি মোবাইল সিম বন্ধ হচ্ছে শুক্রবার

বৃহস্পতিবার মধ্যরাত (জিরো আওয়ার) থেকে বন্ধ হচ্ছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৭টি মোবাইল সিম। নির্ধারিত সংখ্যকের বেশি যেসব মোবাইল সিম ব্যক্তির নামে নিবন্ধন হয়েছে সেগুলো বন্ধ করে দিতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি দেশের সব মোবাইল অপারেটরকে নির্দেশনা দিয়েছে।

বিটিআরসি’র নির্দেশনা ছিল, একই জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ১৫টির বেশি নিবন্ধিত সিম রাখা যাবে না। কিন্তু বিটিআরসি দেখেছে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে এভাবে নিবন্ধন হওয়ার সিমের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এজন্য অতিরিক্ত সিম কমিয়ে ফেলতে বিটিআরসি তৈরি করেছে ‘সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম’।

এ ব্যাপারে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, ‘নিরাপদে মোবাইল সিম ব্যবহারে এ প্রচেষ্টা আরও গ্রাহকবান্ধব হবে এবং এই খাত অধিকতর সুশৃঙ্খল হবে। আশা করছি, এর ফলে জনসাধারণ নির্বিঘ্নে উন্নত টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।’

বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, আজ রাতের (রাত ১২টা) জিরো আওয়ার থেকে সিমগুলো বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সব সিম বন্ধ হতে ৭-৮ ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১২ জুন সরকার একজন গ্রাহকের বিপরীতে ২০টি সিম নির্ধারণ করে দেয়। পরে এই সংখ্যা কমিয়ে ৫টি করা হলেও সেই সিদ্ধান্তও পরিবর্তন হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ১৫টি সিম নিবন্ধনের জন্য নির্ধারণ করা হয়।

জানা গেছে, ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৭টি সিমের মধ্যে গ্রামীণফোনের সিম সংখ্যা চার লাখ ৬১ হাজার ২৬১, বাংলালিংকের চার লাখ ৫৫ হাজার ৮৩১, রবি‘র চার লাখ ১৯ হাজার ২০২, টেলিটকের চার লাখ ৮৭ হাজার ৮৯২ ও এয়ারটেলের রয়েছে দুই লাখ ২৫ হাজার ৭৬১টি সিম।

বিটিআরসি‘র তথ্যমতে, অন্তত এক লাখ জাতীয় পরিচয়পত্রের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত নির্দেশনা মানা হয়নি। এই সংখ্যক জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি সিম নিবন্ধন করা হয়েছে।

এদিকে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটব সিম বন্ধ করতে সরকারের কাছে আরও দুই মাস সময় (২৬ জুন পর্যন্ত) চেয়ে আবেদন করেছে। অ্যামটব মহাসচিব ব্রি. জে. (অব.) এস এম ফরহাদ স্বাক্ষরিত ওই আবেদনে সিম বন্ধ হলে গ্রাহকদের চারটি সমস্যা হবে উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো, সিম বন্ধ হলে সংশ্লিষ্ট নম্বরের বিপরীতে খোলা মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব (মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস) বন্ধ হয়ে যাবে, অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক হিসাব বা ক্রেডিট কার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের (বিশেষত ফেসবুক) আইডি নিষ্ক্রিয় হবে এবং ওটিপি-ওভার দ্য টপ (বিভিন্ন অ্যাপসভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা) বাধাগ্রস্ত হবে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *