বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা ৫ মিনিটে সোনাগাজীর চর চান্দিয়ায় নিজ বাড়িতে প্রবেশ করে নুসরাত জাহান রাফির মরদেহ। সঙ্গে সঙ্গে ভিড় জমান অপেক্ষারত এলাকাবাসী ও স্বজনরা। আর এ সময় উৎসুক জনতার সেলফি আর ফেসবুক লাইভের হিড়িক বেড়ে যায়। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বেশ কয়েকবার লাঠিপেটা করলেও তারা সরতে যেন নারাজ। জানাজার নামাজের জন্য মরদেহ রাখা হলে সেখানেও সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে।
নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার নুসরাতকে এক পলক দেখার জন্য মানুষের ঢল নামে পুরো এলাকাজুড়ে। রাস্তা ঘাট কোথাও দাড়াবার জায়গা নেই। এ সময় সেলফি নিয়ে ব্যস্ত থাকা মানুষদের সরিয়ে দিলে নুসরাতের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে কেন্দ্র করে ফের জড়ো হয় অনেকেই।
এদিকে নুসরাতের মরদেহ তার বাড়িতে মিনিট দশেক রাখার পর জানাজার নামাজের জন্য সোনাগাজী পৌরসভা বাজারস্থ সাবের স্কুলের মাঠে নেওয়া হয়। সেখানে বিকেল ৫টা ৫৩ মিনিটে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বাজার থেকে নুসরাতের বাড়ি দুই কিলোমিটার দূরত্ব হলেও মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের পেছন পেছন মানুষ জানাজাস্থলে যান। কানায় কানায় পূর্ণ হয় পুরো স্কুল মাঠ।
জানাজার নামাযে ইমামের দায়িত্ব পালন করেন নুসরাতের বাবা মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা কেএম মুসা। জানাজা নামাজ পড়ানোর সময় তিনি বেশ কয়েকবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানাজা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
বার্তা বিভাগ প্রধান