সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে শ্রী শ্রী অদ্বৈত্য প্রভুর জন্মধাম পণাতীর্থ পুণ্যস্থান শুরু হওয়ায় যাদুকাটা নদীতে লাখো মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলায় শ্রীশ্রী অদ্বৈত প্রভূর জন্মধাম রাজারগাঁওস্থ লাউর নবগ্রাম পণাতীর্থে গঙ্গাস্নান যাত্রা,বারুণি মেলা ও ইসকনে ৩ দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশ বিদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের এপাড় ও ওপার দু বাংলার লাখো ভক্তবৃন্দ ও উপস্থিতিতে মিলনমেলায় যাদুকাটা নদীর ধুধু বালুচর। ভক্তরা গঙ্গাঁস্নানের মধ্য দিয়ে পূণ্যলাভ আর মনোবাসনা পূর্ণ হওয়ার আশায় গতকাল বিকেল থেকে দেশ বিদেশের লাখ লাখ সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী পুরুষ ভক্তবৃন্দরা ছুটে এসেছেন তাহিরপুরের গড়কাটি ইসকন (আর্ন্তজাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) মন্দিরে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। অদ্বৈত প্রভূর আখড়া বাড়ি প্রাঙ্গঁন বালুচরে বারুণী মেলা বসেছে। উপজেলার উওর বাদাঘাট ইউনিয়নের প্রাচীন লাউর রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী নবগ্রাম রাজারগাঁওয়ে শ্রী শ্রী অদ্বৈত প্রভূর জন্মস্থান পণাতীর্থে খরস্রোতা যাদুকাটা নদীতে স্নান করতে নামেন সনাতন ধর্মাবলম্বী হাজারো নারী পুরুষ। সনাতন ধর্মালম্বীদের মতে সপ্তগঙ্গার মিলনকেন্দ্র্র সব তীর্থের এক মহাতীর্থ খ্যাত পণতীর্থে শ্রী শ্রী অদ্বৈত প্রভূর আখড়া বাড়িতে ভজন কীর্তনের মধ্য দিয়ে গঙ্গাস্নান যাত্রা মহোৎসব শেষ হবে। কুমারীপূজা, মঙ্গলপূজা, গঙ্গাপূঁজা, ভজন-লীলা কীর্তন, খ্যাতিমান শিল্পীদের অংশ গ্রহনে ধর্মীয় সঙ্গীত ও বৈদিক নাটক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় হাজারো দোকানীরা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বাহারী রংঙের পণ্যসামগ্রী ও ফটকা নিয়ে বসেছে। এদিকে সুনামগঞ্জ জেলার একই উপজেলার লাউড়েরগড় সীমান্তের মেইন পিলার ১২০৩ এর সেভেন এস থেকে টেন এস সাব পিলার এলাকায় ভারত বাংলাদেশ জিরো লাইন সংলগ্ন বাংলাদেশ অভ্যন্তরে মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই ঘটাও করে অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে অরুণোদয় যুব সংঘ। মা, মাটি আর মানুষের কল্যানে ও নিজ ধর্মের জন্য সর্বদা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এই তরুনরা। সংঘের প্রতিষ্টাতা ও সাধারণ সম্পাদক উদীয়মান তরুন সমাজকর্মী শান্ত দাশ শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোরডটকমকে বলেন আমরা সমাজের জন্য অসহায় ও নিপীড়িত মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। করতে চাই ধর্মের কল্যানের জন্য কিন্ত কিছু বাধ্যবাদকতা ও আর্থিক সীমাবদ্ধতা আমাদের চলার পথের অন্তরায় হয়। আমরা মাত্র তিন মাসের মাথায় পূণ্যস্থান পনাতীর্থ যাবার প্রয়াশ করেছি এবং আমাদের গ্রামের প্রায় ৩০ জনকে নিয়ে যাচ্ছি।