ডেস্ক নিউজ : শীত শেষে হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু হয়েছে দেশের তাপমাত্রা। সেইসঙ্গে যোগ হচ্ছে শিলাবৃষ্টি। যেন অস্থির হয়ে উঠেছে প্রকৃতি আবহাওয়া,কালবৈশাখীর এ মৌসুমে শিলাবৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাতেরও আশঙ্কা বেশি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বাংলা বছরের শেষ প্রান্তে শুক্রবার ৩০ মার্চ বিকেলে হঠাৎ করেই কালো মেঘে ছেয়ে যায় গোটা আকাশ। সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হয় ঝড়-বৃষ্টি।
তবে বেশ কয়েকটি জেলায় বজ্রপাতের সঙ্গে দেখা দিয়েছে শিলাবৃষ্টি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্ষেতের ফসল,গাছপালা, ঘরবাড়ি ।
ইতি মধ্য সিলেট এর বিভিন্ন এলাকায় অনেক ঘর বাড়ি চালাঘর উড়িয়ে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে,এই ঝড় ও শিলাবৃষ্টি কারণে অনেক ফসল এর ক্ষতি হয়েছে,
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর আবহাওয়াবিদ বলেন, শীতের পর এটিই প্রথম ঝড় ও শিলাবৃষ্টি।
কোনো কারণে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে গেলে বাষ্পীয় ফলে জলীয়কণা ওপরে উঠে শিলায় পরিণত হয় এবং বৃষ্টির সঙ্গে মাটিতে পড়ে। শিলা বৃষ্টি সাধারণত কালবৈশাখীর মৌসুমেই ঘটতে দেখা যায়।
শুক্রবারের শিলাবৃষ্টি এবং ঝড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শিলার আঘাতে আহত হয়েছেন অনেকে। এবারের শিলার আঁকার বেশ বড় ছিল বলেও জানান যায়।
এ বিষয়ে আবদুর রহমান বলেন, বড় আকারের শিলাগুলো খুবই বিপদজনক। এধরনের শিলাগুলো অনেক ওপর থেকে পড়ে বলে আঘাতটা বেশি জোরালো হয়। এতে মানুষ মারাও যেতে পারে। এর আগে গোপালগঞ্জে প্রায় দুই কেজি ওজনের শিলা পড়েছিলো।
তিনি আরও বলেন, মূলত এপ্রিল থেকে মে মাস কালবৈশাখীর মৌসুম। এসময়ের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টি হবে। শনিবারও ৩১ মার্চ বিকালের দিকে কয়েকটি জায়গায় শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এসময়ে প্রচুর বজ্রপাতও হবে। ঝড়-বৃষ্টির সময় মানুষকে সতর্ক থাকা উচিত।
আবহাওয়া অফিসের আগামী তিন মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়, অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার অধিক পরিমাণ শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রসহ ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।
তাছাড়া ঝড়ের সময় খোলা স্থানে না থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার সতর্কতা জানানো হয়।