ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয়েছিলেন ভারতের আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের ৪৪ সদস্য। তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল।এবার সেই বাহিনীরই তিন সদস্য খুন হয়েছেন নিজেদেরই সহকর্মীর হাতে। এরপর হত্যাকারী নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। বর্তমানে সে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, বুধবার রাতে জম্মু কাশ্মীরের সিআরপিএফের ১৮৭ ব্যাটেলিয়ন ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে৷ নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কনস্টেবল অজিত কুমার সহকর্মীদের গুলি করে হত্যা করেন। পরে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। বর্তমানে তিনি সেনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।সিআরপিএফ জানায়, অজিত কুমারের গুলির শিকার হয়ে রাজস্থানের পোকারমাল আর, দিল্লির যোগেন্দ্র শর্মা এবং হরিয়ানার উমেদ সিং নিহত হন৷
এ ঘটনার খবর পাওয়ার পরই বাহিনীটির শীর্ষ কর্মকর্তারা ক্যাম্পে ছুটে যান। পুলিশও পৌঁছায় সেখানে। পরে সিআরপিএফ ও পুলিশ নিজেদের মতো করে তদন্ত শুরু করেছে৷ তাদের মধ্যে কী নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছিল তা জানার চেষ্টা চলছে৷তবে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীগুলোতে মাঝেমধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে তারা দাবি করে থাকেন অত্যাধিক কাজের চাপ ও মানসিক অবসাদের কারণে এসব বাহিনীর সদস্যরা সামান্য কিছুতেই ধৈর্যহারা হন। সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন৷ মানসিক অবসাদের কারণে অনেকে আত্মঘাতী পর্যন্ত হয়েছেন৷ভারত বিশাল দেশ হলেও দুই প্রতিবেশী দেশের সাথে শত্রুতার মাত্রা অনেক বেশি হওয়ায় এসব বাহিনীর সদস্যদের অনেক বেশি চাপ সহ্য করতে হয়। সীমান্ত পাহারা দিতে গিয়ে তারা অনেকটা সময় পরিবারের বাইরে থাকতে বাধ্য হন। ফলে তাদের মধ্যে অবসাদ, বিষণ্ণতা, একঘেয়েমির সূত্রপাত্র হয়। আর সেগুলো বাড়তে বাড়তেই নিজেদের মধ্যে সংঘাতের মতো ঘটনা ঘটে থাকে।
প্রতিনিধি