দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি মেলা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার থেকে। রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে শুরু হতে যাওয়া ‘১৫তম বেসিস সফট এক্সপো-২০১৯’ মেলা চলবে ২১ মার্চ পর্যন্ত। মেলার এবারের প্রতিপাদ্য টেকনোলজি ফর প্রসপারিটি।
আগামীকাল (১৯ মার্চ) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি থাকবেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর কাওরানবাজারে বেসিস মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে মেলার আয়োজকরা এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘সরকার ব্যবসায় করতে আসেনি। বরং সবাই যাতে ব্যবসায় করতে পারে সেই ক্ষেত্র বা প্ল্যাটফরম তৈরি করে দেবে। বেসিসের এই মেলা সেই প্ল্যাটফরম।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি ডিজিটাল বাংলাদেশের মূলভিত্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অবদানের কারণেই। বেসিস সফটএক্সপো আয়োজনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা তুলে ধরা। পাশাপাশি এবার তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অংশগ্রহণ থাকছে।’ প্রতিমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে আরও সচেতন ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘এটাকে একটা টুল হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। তাহলে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হবে। আবার এটাকে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র হিসেবেও ব্যবহারের কৌশল জানতে হবে।’ পলক বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অনলাইন পোর্টাল এখন বাংলাদেশ সরকারের। ২৫ হাজার সাইট দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে এই পোর্টালে সাইটের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই বক্তব্য নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। আমি কখনোই বলিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন পোর্টালের মলিক এখন বাংলাদেশ।’ তিনি আশা করেন, এর মধ্য দিয়ে সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মেলার আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ‘আয়তন ও দর্শকের বিবেচনায় এটি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি মেলা। দেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্প্রসারণে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রায় ২৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। দেশের সফটওয়্যারের নিজস্ব চাহিদা পূরণে সক্ষমতা প্রদর্শন ও আস্থা তৈরিই এ প্রদর্শনীর লক্ষ্য।’ তিনি জানান, এবারের মেলায় তারা ৩ লাখের বেশি দর্শক সমাগম আশা করছেন। মেলায় নতুন কী থাকছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভেন্যু নতুন (মেলার স্থান)। এছাড়া এবার মেলায় প্রবেশের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করা যাবে। আর মেলা উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছে অ্যাপ। অ্যাপেই মিলবে মেলার সব তথ্য।’