শুদ্ধবার্তা ডেস্ক– দেশেসাইবারঅপরাধেভুক্তভোগীদের১১শতাংশইশিশু।যাদেরবয়স১৮বছরেরকম।দেশব্যাপীসচেতনতামূলকব্যবস্থানানেওয়াহলেএটিআরওভয়াবহরূপনেবে।আরতাইসরকারি
–বেসরকারি পর্যায়ে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতনতামূলক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ মার্চ) রাজধানীতে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কর্তৃক আয়োজিত ‘শিশু–কিশোরদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট মহোৎসবে’ এ আহ্বান জানায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস (সিসিএ) ফাউন্ডেশন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে ইন্টারনেটের ভালো–মন্দ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের আহ্বায়ক কাজী মুস্তাফিজ।
সংগঠনটির সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে সেমিনারে জানানো হয়, সাইবার অপরাধে ভুক্তভোগীদের মধ্যে ৭৪ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩০, ১৩ শতাংশের বয়স ৩১ থেকে ৪৫ ও ৩ শতাংশের বেশি ভুক্তভোগীর বয়স ৪৬ বছরের বেশি। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে, অনলাইনে অপপ্রচার (সাইবার বুলিং), আইডি হ্যাকিং, অনলাইনে হুমকি, এটিএম কার্ড হ্যাকিং, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকউন্ট হ্যাকিং, অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার ইত্যাদি।
অনলাইনে শিশুদের ব্যাপক উপস্থিতি সত্ত্বেও তাদের ডিজিটাল দুনিয়ার বিপদ থেকে সুরক্ষিত রাখতে এবং তাদের নিরাপদ অনলাইন কনটেন্ট ব্যবহারের সুযোগ বাড়াতে খুব সামান্যই কাজ হয়েছে। এ অবস্থায় ইউনিসেফ ও ফেসবুক এক বছরব্যাপী একটি সচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু করেছে।
দিনব্যাপী আয়োজনে সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন– তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। আরও ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি অ্যাডওয়ার্ড বেগবেদার, ফেসবুকের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রোগ্রাম প্রধান রিতেশ মেহতা।
ইউনিসেফের তথ্য মতে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বড় অংশ ১৮ বছরের নিচে। প্রতিদিন ১ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি শিশু প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবহার করছে। ৯ লাখের বেশি শিশুর কাছে জরিপের ফরম পৌঁছানো হয়, কিন্তু এতে অংশ নেয় ১১ হাজার ৮২১ জন, যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৮।
বার্তা বিভাগ প্রধান