যশোর শহরে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, ওই ব্যক্তি শিশু ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন হতে পারেন।আজ বুধবার ভোরে শহরের খোলাডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে শহরের পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিহাবুর রহমান দাবি করেছেন।নিহত ব্যক্তির (৩৫) নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ দাবি করেছে, ওই ব্যক্তি শহরের খোলাডাঙ্গা এলাকার শিশু তৃষা ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকতে পারেন।শিশু তৃষা গত ৩ মার্চ বিকালে খেলা করতে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরের দিন সন্ধ্যায় বাড়ির অদূরে একটি গর্ত থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার তার বাবা তরিকুল ইসলাম অজ্ঞাত আসামিদের নামে একটি মামলা করেন।আজ বুধবার সকালে পুলিশ কর্মকর্তা শিহাবুর রহমান দাবি করেন, গোপন সূত্রে রাত ৩টায় পুলিশ জানতে পারে, খোলাডাঙ্গা এলাকার একটি পরিত্যক্ত রাইস মিলে শিশু তৃষা ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন কয়েকজন আসামি অবস্থান করছে। পুলিশের দুটি টিম সেখানে অভিযান চালায়।‘পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ও বোমাবাজি শুরু করে। এ সময় পুলিশ পাল্টা ১০টি গুলি করলে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। পরে মিলের পার্শ্ববর্তী মাঠ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।’পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ওই ব্যক্তিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, একটি গুলি ও ৫০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মরদেহের মাথার বামপাশে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রয়েছে।
প্রতিনিধি