মিয়ানমারের রাখাইনে হত্যা-ধর্ষণ-নিপীড়ন থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের খাওয়াতে প্রতিদিন এক মিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে।জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড রেগ্যান মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফ উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা নারীদের নেতৃত্বাধীন কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন জাতিসংঘ কর্মকর্তা।রিচার্ড রেগ্যান বলেন, ‘এই কর্মসূচির জন্য তহবিল সংগ্রহ একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে এটা বলব যে, আমরা ভাগ্যবান। দাতারা যথেষ্ঠ উদার। সে কারণেই যখন থেকে তারা কক্সবাজারে এসেছে তখন থেকেই খাদ্য সরবরাহ করতে পারছি।’‘যদিও যে কোনো সময়ে তাদের মনোযোগ অন্য কোনো দুর্যোগের দিকে ঘুরে যাওয়ার ভয় থেকেই যায়। আশা করব রোহিঙ্গাদের বেলায় এমনটা ঘটবে না।’জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল কার্যক্রমের (ইউএনএফপিএ) বাংলাদেশ প্রতিনিধি আশা টর্কেলসন বলেন, ‘সহিংসতা বন্ধের পাশাপাশি সহিংসতা নির্মূলসহ নারীদের জন্য একটি নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে।’উদ্বোধন শেষে স্থানীয় বাসিন্দা ও রোহিঙ্গা নারীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য ও খাদ্যের প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারা।অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আয়নুল কবির, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিস মিয়া সেপ্পো, ইউএনএফপিএর জিবিভি বিশেষজ্ঞ ফাতেমা সুলতানা, গণউন্নয়ন কেন্দ্রের সমন্বয়কারী মো. রোকনুজ্জামান জিল্লুল্লাহ।
প্রতিনিধি