কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের পৃথক অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৪ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ডাকাত নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৬ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও তিনটি এলজি এবং গুলি উদ্ধার করা হয়। বিজিবি ও পুলিশের দাবি তারা ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ডাকাত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
আজ শুক্রবার ভোরে সাবরাং ও হোয়াইক্যংয়ে বিজিবি ও পুলিশের পৃথক বন্দুকযুদ্ধে এ ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আছাদুদ জামান চৌধুরী জানান, ভোর রাতে সাবরাং ইউপিস্থ পুরাতন মগপাড়া কাঁকড়া প্রজেক্ট এলাকা দিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে নায়েক সুবেদার মোহাম্মদ শাহ আলমের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল এই এলাকায় গমন করে। এসময় চোরাকারবারিরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করতে থাকে। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে কৌশলগত অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলি চালায়। ইয়াবা ব্যবাসায়ীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে দুইজন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সেই সাথে উদ্ধার করা হয় আনুমানিক ১ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি দেশীয় তৈরী এলজি ও একটি খালি কার্তুজ। আহত ব্যক্তিদ্বয়কে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।বিজিবির সিও আরো জানান, উভয় পক্ষের আট থেকে ১০ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। এতে সিপাহি মোঃ ইমরান হোসেন নামে এক বিজিবি সদস্য আহত হয়। তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মৃত ব্যক্তিদের খুব শিগগিরই শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
অপর দিকে পুলিশ জানায়, ভোররাতে টেকনাফ থানা পুলিশ জানতে পারে যে, হোয়াইক্যং নয়াপাড়া বট্টলী এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সংবাদে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেই একদল অস্ত্রধারী পুলিশের উপর গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুঁড়ে । এতে ঘটনাস্থল থেকে চৌধুরী পাড়ার আব্দুল জলিলের পুত্র ডাকাত নজির আহমদ (৩০) ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়ার জাকারিয়ার পুত্র গিয়াস উদ্দিন (৩৫) গুলিবিদ্ধ হয়। তিনটি এলজি, ৬ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, নয় রাউন্ড তাজা কার্তূজ ও তেরটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ী ইনচার্জ এসআই দীপাংঙ্কর রায়। তিনি বলেন, গুলি বিনিময়কালে টেকনাফ থানা পুলিশের তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মৃতদেহ পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রতিনিধি