নির্বাচনের আগে কংগ্রেস যাতে কোনোভাবে বিতর্কে না জড়িয়ে পরে সেদিকে জোড় নজর দিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সম্প্রতি ভারতের সরকারি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেস নেতা কুমার আশিস। বিষয়টি জনসম্মুখে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে দল থেকে সরিয়ে দেন এই নেত্রী।
এক বিবৃতিতে কংগ্রেস জানায়, ‘সর্বভারতীয় কংগ্রেসের পূর্ব উত্তরপ্রদেশের মহাসচিব প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সেক্রেটারি হিসাবে কুমার আশিসের নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তার নামে অভিযোগটি ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আশিসের দলে যোগদানের একদিনের মধ্যেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার টিম থেকে তাকে বসিয়ে দেওয়া হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার মামলায় তার নাম জড়িয়ে যাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও কংগ্রেসকে বহু সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। ফলে গত মঙ্গলবারই কুমার আশিস নামের ওই নেতাকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর দলে কংগ্রেস সেক্রেটারি পদে বসানো হয়। কিন্তু, পরদিন বুধবার, দলের প্রধান রাহুল গান্ধীর নির্দেশে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হল।
কংগ্রেস সূত্রে জানানো হয়, ‘এই খবরটি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কানে যাওয়া মাত্রই তিনি তার (কুমার আশিস) পরিবর্তন খোঁজার কথা জানিয়ে দেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী তার বোনের অনুরোধ রক্ষা করে কুমার আশিসের বদলে নিয়ে আসেন শচীন নায়েককে।’
২০০৫ সালে বিহারে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার হন অভিযুক্ত কুমার আশিস। পরে তাকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এরপর তিনি পুনরায় তারপর কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং বিহারের নির্বাচন থেকে লড়াইও করেন।
বিহারের শাসকদক জনতা দল ইউনাইটেড এবং অন্যান্যরা সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেসের এই নতুন নিয়োগ নিয়ে প্রথম থেকেই অত্যন্ত সরব ছিল।