সৌদি আরবের তাবুক শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পারুয়ারা গ্রামের প্রবাসী আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী (৩৮) নামে এক ব্যক্তি রোববার স্থনীয় সময় সাড়ে ৯টায় মারা যান।এ সময় তার বন্ধু একই জেলার চৌদ্দগ্রামের সোয়াগাজীর আরিফুল ইসলাম এবং একজন ভারতীয় নাগরিকসহ তিন জন ঘটনাস্থলে নিহত হন।নিহতের চাচা জসিম উদ্দিন ও স্থানীয় সূত্র জানায় জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের পারুয়ারা গ্রামের চৌধুরী বাড়ি মৃত শাহ আলম চৌধুরীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী (৩৮) গত ছয় বছর পূর্বে চাকুরী নিয়ে সৌদি আরব গমন করেন।
তিনি সৌদি আরবের তাবুক শহরে পাইপ ফিন্টারের কাজ করতেন। তিনি প্রায় সাত লক্ষাধিক টাকা খরচ করে চাকুরী নিয়ে সৌদি আরব যান।আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী ব্যক্তি জীবনে ২ ছেলে ১ মেয়ে, স্ত্রী রেহানা আক্তার, মা, ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে সবার বড়। সংসারের উপর্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল মামুন।সংসার চালাতে গিয়ে এখনও তিনি প্রায় চার লক্ষ টাকা ঋণ রয়েছে বলে জানান তার চাচা ও স্ত্রী। এর মধ্যে তার বড় মেয়ে মৌসুমী আক্তার সুমি(১৪) স্থানীয় স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী, দ্বিতীয় মেয়ে মারুয়া আক্তার ফাতেয়া(৬) নার্সারীর ছাত্রী একমাত্র ছেলে নাবিল রায়হান (২)। গত রোববার সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯ টায় তাবুক শহরের সড়কের পাশে তিন শ্রমিক পাইপ ফিল্টারের কাজ করার সময় একটি বেপোয়ার গতির একটি প্রাইভেট কার তাদেরকে চাপা দেয় এবং প্রাইভেটকারটি এসময় দুমড়ে মুড়ছে যায়।এঘটনা স্থলে তিন প্রবাসী মারা যায়।
এর মধ্যে বুড়িচং উপজেলার পারুয়ারা গ্রামের আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, একই জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সোয়াগাজী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম এবং অজ্ঞাত ভারতীয় এক যুবক। রোববার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় ৭টায় এখবর মামুনের বাড়িতে তার বন্ধুরা ফোন করে জানালে তার স্ত্রী সন্তান বৃদ্ধা মা ও আত্মীয় স্বজনের আহা জারি ও কান্নায় এলাকার বাতাস ভাড়ী হয়ে উঠে।তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের মাতম বইছে।মামুনের স্ত্রী বৃদ্ধা মা ও আত্মীয় স্বজনদের দাবী নিহতের লাশ যেন বাংলাদেশে তার বাড়িতে পাঠায় এবং গ্রামে যেন কাফন দাফন হয়।
প্রতিনিধি