মোটর সাইকেল কেনার টাকা না দেওয়ায় এক নারীকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। গত সোমবার রাতে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আফিয়া বেগম (৪৫)-এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আফিয়া বেগমের ছেলে জাহাঙ্গীরকে (২৫) দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এদিকে নিহত নারীর মরদেহের ময়নাতদন্ত মঙ্গলবার বিকালে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, জালালপুর গ্রামের আফিয়া বেগমের দুই ছেলে। এক ছেলে ঢাকায় চাকুরি করেন, অন্য ছেলে বাড়িতে থাকেন। স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়েছে। বিচ্ছেদের পর আফিয়া ২ বছর উমানে এবং পরে আরও ২ বছর সৌদি আরবে গিয়ে শ্রমিকের কাজ করেন।
সম্প্রতি দেশে ফিরে তিনি বাড়িতে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করেন। এর মধ্যেই ছেলে জাহাঙ্গীর বায়না ধরে তাকে মোটর সাইকেল কিনে দেওয়ার। মা টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় সোমবার সকালে কৌশলে প্রথমে মাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় ছেলে জাহাঙ্গীর। পরে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মাকে জবাই করে হত্যা করে। মাকে হত্যার পর ঘরের দরজা বাইরের দিকে বন্ধ করে জাহাঙ্গীর সুনামগঞ্জ শহরে চলে আসে। বিকালে সে ঘরের দরজা খোলে মাকে ধরে চিৎকার দিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। কিন্তু স্থানীয় লোকজন পুত্র জাহাঙ্গীরের আচরণে সন্দেহ করেন। তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে এবং জাহাঙ্গীরকে আটক করে।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশিল রঞ্জন দাস বলেন, ‘জাহাঙ্গীর মোটর সাইকেলের টাকা না দেওয়ায় মাকে খুন করার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। তার সঙ্গে ছাতক থানা এলাকার তার এক বন্ধু সহযোগিতা করেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
নির্বাহী সম্পাদক