সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রুলসহ এই আদেশ দেয়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি আদেশ বাস্তবায়নে বিবাদীদের সহযোগিতা করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
রিটকারী আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন জানান, গত শনিবার রাতে সিলেট থেকে ঢাকায় আসার পথে নরসিংদীর শিবপুরে রাস্তার মধ্যে একটি খুঁটি দেখে ফেইসবুকে লাইভ করেন তিনি।
সেই ভিডিও দেখে অনেকেই দেশের বিভিন্ন সড়কে থাকা বিপজ্জনক খুঁটির ছবি ফেইসবুকে সুমনকে পাঠান। সেসব ছবি যুক্ত করেই বুধবার হাই কোর্টে জনস্বার্থে এই রিট আবেদন করেন তিনি।
আদালতে রিটের পক্ষে সুমন নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নে জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
সুমন জানান, অন্তঃবর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি এ বিষয়ে একটি রুলও জারি করেছে হাই কোর্ট।
সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কে থাকা বৈদুতিক খুঁটিসহ সব ধরনের বিপজ্জনক খুঁটি চিহ্নিত করে অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছ রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদেশের পর আইনজীবী সুমন সাংবাদিকদের বলেন, “এ ধরনের খুঁটির কারণে যে কোনো সময় যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আপনি একদিকে রোড সেফটির কথা বলবেন, অন্যদিকে রাস্তার মাঝখানে খুঁটি দাঁড় করিয়ে রাখবেন, এটা হতে পারে না।”
নির্বাহী সম্পাদক