ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তারকা খেলোয়াড় অ্যান্থনি মার্শাল নারীঘটিত কেলেঙ্কারি বাধিয়ে ফেলেছেন। তিনি বিয়ে করেন নি, অথচ তার প্রেমিকা অন্তঃসত্ত্বা। তিনি জন্ম দিয়েছেন একটি পুত্র সন্তান। তার নাম রাখা হয়েছে সোয়ান। এখানেই শেষ নয়। প্রেমিকা যখন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ঠিক তখনই তিনি একজন মডেলের সঙ্গে বিছানায় মেতে ওঠেন। একটি দামি হোটেলে ওই মডেলের সঙ্গে অবাধ যৌনাচারে মেতে ওঠেন অ্যান্থনি মার্শাল। ওই মডেলের নাম মালিকা সেমিচি।
তার সঙ্গে অ্যান্থনি মার্শাল প্যারিসের একটি দুই তারকা হোটেলে এমন উদ্দামতায় মেতে ওঠেন। এর আগে তারা একসঙ্গে একটি নৈশক্লাবে সময় পার করেন। তারপর প্রতি রাতে ৭০ পাউন্ড ভাড়া এমন একটি হোটেলে এক সপ্তাহ কাটিয়ে দেন। এ সময় তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে অবাধ যৌন সম্পর্ক।
অ্যান্থনি মার্শাল প্রতি সপ্তাহে আয় করেন ৭৫০০০ পাউন্ড। তার সঙ্গে প্রেম গড়ে ওঠে মেলানি ডা ক্রজ নামের এক যুবতীর। তাদের মধ্যেও গড়ে ওঠে অবাধ যৌন সম্পর্ক। এক পর্যায়ে মেলানি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এ সময় নিজেকে ধরে রাখতে পারেন নি অ্যান্থনি মার্শাল। তিনি জড়িয়ে পড়েন মডেল মালিকার সঙ্গে। কয়েক মাস আগে লন্ডনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকাকে মালিকা নিজেই প্রকাশ করে দেন। তিনি বলেন, ওই ফুটবল তারকা তাকে রগরগে এসএমএস বার্তা পাঠিয়েছেন। এর ঠিক কয়েক মাস পরেই তারা হোটেলের অভিসারে মেতে ওঠেন। এ ঘটনা গত জুলাই মাসের।
এর দু’এক মাস পরে অ্যান্থনি ও মেলানির ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তবে ওই বাধাহীন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ খুলেছেন মডেল মালিকা (২০) আবারো। তিনি বলেছেন, তার সঙ্গে অ্যান্থনি হোটেলে যে আচরণ করেছেন তাতে হয়তো তিনি তাকে খুব সস্তা পণ্য হিসেবে ভোগ করেছেন। কিন্তু মালিকা বিস্মিত হয়ে যান যখন অ্যান্থনি তাকে জানান যে, তাদেরকে কেউ যেন এক সঙ্গে দেখতে না পায়। কারণ, তার ওই প্রেমিকা তাতে ক্ষুব্ধ হবেন।
ঘটনাটি গত বছর জুনের। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল স্কোয়াড থেকে অ্যান্থনি মার্শালকে বাদ দিয়েছেন ফ্রান্সের ম্যানেজার দিদিয়ের দেচ্যাম্পস। এতে তার ভক্তরা ভীষণভাবে বিস্মিত। এর অল্প পরেই অ্যান্থনি মার্শাল ওই মডেল মালিকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন। তার আগে তাদের সাক্ষাৎ হয় প্যারিসের হোবো নৈশক্লাবে। মালিকা বলেন, ওই সাক্ষাৎটি হয়েছিল একান্তই ব্যক্তিগত পর্যায়ে। পরে তা অনেকদূর অগ্রসর হয়। মালিকা আরো বলেন, আমি জানতাম অ্যান্থনি মার্শালের প্রেমিকা আছে।
কিন্তু তিনি আমাকে বলতেন যে, তার ওই প্রেমিকা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণে তারা অনেক দিন যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন না। তিনি এ সময় আমাকে তার দ্বিতীয় প্রেমিকা হিসেবে পরিচয় দিতে থাকেন। আমাকে স্পেশাল হিসেবে অনুভব করাতে থাকেন। অবশেষে গত বছরের ৩রা জুলাই গারে ডি লিয়ন রেল স্টেশনের কাছে হোটেল ডি মিডিতে আমাদের সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত হয়।
মালিকা আরো বলেন, সব কিছু অতি দ্রুত ঘটে যেতে তাকে। আমি তার শরীরের গঠন দেখে বিস্মিত হলাম। কারণ, তার শরীর তখনও একেবারে পরিপূর্ণ খাঁটি অবস্থায় ছিল।
মালিকা বলেন, হোটেলের ওই উদ্দামতার পর আমরা দু’জন কয়েক মাস ধরে চ্যাটিং অব্যাহত রাখি। আমি তার প্রতি ছিলাম সত্যিকার অর্থে যত্নশীল। আমার কাছে নিজেকে খুব স্পেশাল মনে হতো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, তিনি শুধু আমার শরীরটাকেই ব্যবহার করছেন। অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন কারো সঙ্গে আমি আর সম্পর্ক রাখতে চাই নি। আমি আর আহত হতে চাই নি।
মালিকা বলেছেন, একটি এসএমএস বার্তায় অ্যান্থনি মার্র্শাল আমাকে থ্রিসাম যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার আহ্বান জানায়। কিন্তু আমি তাতে রাজি হই নি। তবে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক কিছুদিন টিকে ছিল। কারণ, তাকে আমি খুব পছন্দ করতাম। পরে বুঝতে পারলাম কতটা অন্যায় করছি। তার তো বাসায় তিন মাস বয়সী একটি বাচ্চা আছে। এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক টেনে নেয়া সম্ভব হয় নি।
প্রতিনিধি