টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ২৪৪টি ‘ওয়েবসাইট (ডোমেইন ও লিংক)’ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগ থেকে দেশের সব আইআইজিকে (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) সংশ্লিষ্ট পর্নো সাইটগুলো বন্ধের নির্দেশনা পাঠানো হয়। নির্দেশনা পেয়ে আইআইজিগুলো তা কার্যকর করতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
বিটিআরসি’র পাঠানো তালিকায় দেখা যায়, পর্নো সাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে ৬২টি টপ পর্নো টিউব সাইট, ১টি মোবাইল পর্নো সাইট, ১০টি অ্যাডাল্ট ইঞ্জিন সাইট, ১২টি টপ পর্নো সাইট, ২টি বেস্ট ফেটিস পর্নো সাইট, ১টি আরব পর্নো সাইট, ১টি বেস্ট পিক ডাম্প সাইট, ৫টি মোস্ট ফেমাস পিকচার সাইট, ৩টি বেস্ট অ্যানাল প্রিমিয়াম সাইট, ৩টি বেস্ট অ্যামেচার প্রিমিয়াম সাইট, ৫টি বেস্ট অ্যামেচার পর্নো সাইট, ১২টি টপ লাইভ ক্যাম সাইট, ৯টি টপ ভিআর পর্নো সাইট, ৪টি বেস্ট গে পর্নো সাইট, ৪টি বেস্ট পর্নো টরেন্টস সাইট, ৬টি মোস্ট ফলোয়িং পিনার (পিন্টারেস্ট), ৬টি বেস্ট মডেল ডিরেক্টরি সাইট, ৩টি টপ ইরোটিক সাইট, ৫টি টপ ইন্ডিয়ান পর্নো সাইট, ১টি ল্যাটিন পর্নো সাইট, ১টি লেসবিয়ান পর্নো সাইট, ২টি বেস্ট শিমেল পর্নো সাইট, ৫টি পপুলার অ্যাডাল্ট গেমস সাইট, ২টি মোস্ট ডাউনলোড সফটওয়্যার, ৭টি রিলাইয়েবল অ্যাডাল্ট অনলাইন শপ, ৫টি টপ অ্যাডাল্ট ফোরাম সাইট, ৪টি টপ ম্যাগাজিন সাইট, ৬টি মোস্ট ফেমাস সেলেব ব্লগ, ২টি বেস্ট অ্যাডাল্ট চ্যাট সাইট, ৪টি ফেমাস হুকআপ সাইট, ৩০টি বেস্ট পে পর্নো সাইট। এছাড়া ১২টি অন্যান্য ধরনের পর্নো সাইটও বন্ধ করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দেন, ‘২৪৪টি পর্নো সাইট বন্ধ করেছি। অভিযান চলছে। চলবে।’ এর আগে বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের সক্ষমতার অভাবে এগুলো চিরদিনের জন্য বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। কিছুদিন বন্ধ থাকার পরে সাইটগুলো আবারও সচল হচ্ছে। এটাই বড় চ্যালেঞ্জ। শিগগিরই আমরা পর্নো সাইট বন্ধের সক্ষমতা পুরোপুরি অর্জন করতে সক্ষম হবো।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘ইউটিউবও পর্নোগ্রাফির একটা বড় উৎস। ইউটিউব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। তারা আমাদের এ বিষয়ক অনুরোধ রাখবে বলে জানিয়েছে।’
সম্প্রতি মন্ত্রী বলেন, ‘ইউটিউব এরই মধ্যে আমাদের অনেক অনুরোধ রেখেছে। অনেক কনটেন্ট এরই মধ্যে তারা সরিয়ে ফেলেছে।’
পর্নো সাইট বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিটিআরসির নির্দেশনা বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে। এর মধ্যে সবগুলোই পর্নো সাইট নয়। অনেক লিংক আছে যেগুলো পর্নো কনটেন্ট রয়েছে। সাইটগুলোর মধ্যে দেশি ও বিদেশি সাইট রয়েছে।’
তিনি জানান, এট একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন সময়ে এগুলো বন্ধের নির্দেশনার পাওয়ার পরে সেগুলো বন্ধও করা হয়েছে। কিন্তু পর্নো সাইটের নির্মাতারা কারিগরিভাবে বেশি শক্তিশালী হওয়ায় প্রযুক্তির আশ্রয় নিয়ে সাইটগুলো আবারও সচল করে ফেলে।
নির্বাহী সম্পাদক