Home » মাশরাফি-সাকিবের ফাইনালে ওঠার লড়াই

মাশরাফি-সাকিবের ফাইনালে ওঠার লড়াই

৫ম আসরে চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স ও রানার্সআপ দল ঢাকা ডায়নামাইটস। এবার যেকোনো এক দল পারবে ফাইনালের শিরোপা স্বপ্ন দেখতে। প্রথম দল হিসেবে কুমিল্লা ফাইনালের টিকিট পেয়েছে। কাজেই দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার এখন এই দুই দলের জন্য ফাইনাল।

আজ যারা জিতবে তারাই ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে। কে জিতবে আজ! মাশরাফি বিন মুর্তজার রংপুর নাকি সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডাইনামাইটস! দুই দলই মুখিয়ে আছে সুযোগ লুফে নিতে। ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দল করি। আমাদের একটি সুযোগ আছে।

একটি মোমেন্টামের প্রয়োজন ছিল। চিটাগাংকে হারিয়ে সেটি তৈরি হয়েছে। সেটাই আসলে গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। এখন আমার কাছে মনে হয় দল অনেক আত্মবিশ্বাসী, ভালো খেলছে মাঠে, বোলিংটি আমাদের ভালো হচ্ছে, ফিল্ডিংটা আমরা ভালো করছি। আশা করি আজ সুযোগটা আমরা কাজে লাগাতে পারবো ইন্‌শাআল্লাহ।’ গ্রুপ পর্বের প্রথম দেখায় ঢাকা রংপুরকে হারিয়েছিল ২ উইকেটে। আর দ্বিতীয় দেখাতে রংপুর জিতেছিল ৮ উইকেটে। তাই দুই দলই আত্মবিশ্বাসী নিজেদের সেরাটা দিয়ে জয় তুলে নিতে। 

টানা চার জয়ে বিপিএলের এই আসর শুরু করেছিল সাকিবের ঢাকা। কিন্তু হঠাৎ করেই হয় ছন্দপতন। টানা ৪ ম্যাচে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়ার অবস্থা হয়েছিল দলটির। তবে শেষ ম্যাচে খুলনাকে হারিয়ে রাজশাহীর সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে শেষ চার নিশ্চিত করে ঢাকা। চতুর্থ দল হিসেবে তাই তৃতীয় দল চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে প্লে-অফের  এলিমিনেটর পর্বে মুখোমুখি হতে হয়। তবে দারুণ খেলতে থাকা ভাইকিংসদের উড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখে ঢাকা। বিশেষ করে শেষ ম্যাচে ব্যাট ও বল হাতে দেশি-বিদেশি সবাই ফের জ্বলে ওঠে। কিন্তু কোয়ালিফায়ারে প্রতিপক্ষ মাশরাফির রংপুর বলে কথা।

তাই ভয়তো একটু থাকবেই। এ বিষয়ে সুজন বলেন, ‘শেষ দুই ম্যাচেও আমাদের টপ-অর্ডারে জুটি হয়েছে, যেটি আমাদের জন্য খুবই চিন্তার বিষয় ছিল। এটি একটি ইতিবাচক দিক আমাদের। তবে এর পরেও বলবো যে পরের ম্যাচটি রংপুরের বিপক্ষে, গত বছরের চ্যাম্পিয়ন দল, মাশরাফির নেতৃত্বে খেলা দলটিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। দারুণ একটি লড়াকু দল তারা। সুতরাং অবশ্যই আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে কালকের ম্যাচে।’ শেষ ম্যাচে ওপেন করতে এসে দলে নতুন যোগ দেয়া লঙ্কান তারকা উপল থারাঙ্গা ফিফটি হাঁকিয়েছেন। তার সঙ্গে ওপেনিংয়ে ৩১ রান করে ৪৪ রানের জুটি বাঁধেন সুনীল নারিন। এছাড়াও দেশি ভরসা রনি তালুকদারও ১৩ বলে ২০ রান করে আরো একটি ৪৪ রানের জুটি বেঁধে দলকে জয়ের পথ দেখান। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নূরুল হাসান সোহান ও পোলার্ডরা দলের জয় নিশ্চিত করেন। বল হাতে নারিন নেন ৪ উইকেট। বাকিরাও দারুণ বল করেছেন।

অন্যদিকে রংপুরের চিন্তা এখন ব্যাটিং। গ্রুপ পর্বে ১২ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে নিশ্চিত করেছিল শেষ চারে খেলা। যদিও আসরের প্রথম ম্যাচেই তারা হার দিয়ে শুরু করে। এরপর জয়ে ফিরলেও হেরে যায় টানা তিন ম্যাচ। তবে দলের সঙ্গে এবি ডি ভিলিয়ার্স যোগ দেয়ার পর থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় তারা। তিন বিদেশি তারকা ভিলিয়ার্স, রুশো, ও অ্যালেক্স হেলস হাঁকান তিন সেঞ্চুরি। ক্রিস গেইল শুরু থেকে রান না পেলেও একটু একটু করে দলের জন্য অবদান রাখেন। তবে গেইলের অভাব বুঝদেই দেননি এই হেলস, ভিলিয়ার্স। কিন্তু প্লে-অফে এই দুই তারকাই নেই। তাই ব্যাটিংয়ে বড় ভরসা শুধু গেইল ও রুশো। কিন্তু শেষ ম্যাচে দু’জনই রান পেলেও দলের জয়ে রাখতে পারেননি বড় ভূমিকা।

তবে বিনি হাওয়েল হাঁকিয়েছেন  ফিফটি। ১৬৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে বোলিংটাও হয়েছে যাচ্ছেতাই। যে কারণে কুমিল্লা ৮ উইকেটের বড় জয় নিয়ে রংপুরকে আপেক্ষায় রেখে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। তাই ব্যাটিং নিয়ে চিন্তায় আছেন রংপুরের অধিনায়ক। এ নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘যখন প্রতিপক্ষ কিছু করে সাফল্য পাবে অবশ্যই তাদের কৃতিত্ব। তারা যেটা পরিকল্পনা করেছে, সেটায় তারা সফল হয়েছে। একই ভাবে বলবো আমাদের ব্যাটিং পরিকল্পনার কথা। পরিকল্পনা থাকলে অনেক কিছু হয়। ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনাটা একটু শক্ত করা দরকার। আশা করছি সামনের ম্যাচে এটা কাজ করবে।’ 

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *