চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, দুনিয়ার মানুষ হক কথা বলা থেকে দূরে থাকায় এবং অন্যায়-অত্যাচার, জুলুম-নির্যাতন সহ ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ যখন দেশব্যাপী বিস্তার লাভ করছে সেই মুহূর্তে যে সমস্ত মুসলমানগণ প্রতিবাদ না করে চুপ করে থাকেন তারা রাসূল (সা:) এর প্রকৃত অনুসারী নয়। বর্তমান সমাজ ও রাষ্ট্রে সুদ-ঘুষ ব্যাভিচার এমনকি নিজ সন্তানকে হত্যা সহ বিভিন্ন ধরনের অন্যায় কাজ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতের মুক্তি পেতে হলে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলতে হবে।
প্রকৃত মুমিন হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে আল্লাহর নির্দেশিত ও রাসূল (সা:) প্রদর্শিত ধর্মীয় ব্যবস্থায় জীবন পরিচালনা করতে হবে। একজন খাঁটি মুমিন আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয় বান্দা। আল্লাহর নৈকট্য লাভে বান্দাকে প্রতিনিয়ত নামাজ, রোজা, হজ্ব পালন সহ প্রতিটি ধর্মীয় ও দ্বীনের বিধি-নিষেধ সুচারুরূপে মেনে চলতে হবে।
তিনি আল্লাহ প্রেমিক আল্লামা আব্দুর রহমান বর্নী (র:)’র জীবনে ইসলামী খেদমতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ইসলাম প্রচার ও প্রসারে তিনি যে অবদান রেখে গেছেন তাঁর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। খোদা প্রেমিক মুমিন হিসেবে পরকালীন জান্নাত লাভে প্রত্যেক মুসলমানকে তাকওয়া ও পরহেজগারনীতি অবলম্বনের আহবান জানান তিনি।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (স:) এর সুন্নত পালনের মাধ্যমেই প্রকৃত আহলে সুন্নাতের দাবিদার হওয়া যায়। শুধু মুখের দাবি দ্বারা আহলে সুন্নাত হয় না। তিনি বলেন, বিশ্বনবীর ৬৩ বৎসরের জীবনেতিহাসই হলো সীরাতুন্নবী (স:)। সুতরাং, শুধু মীলাদুন্নবী (স:) পালন করলে যথেষ্ট হবে না। বরং সীরাতুন্নবী (স:) এর আলোকে প্রতিটি মুসলমানের জীবনকে গঠন করলে মহানবীর আদর্শের অনুসারী এবং প্রকৃত আশেক হওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী আজ মুসলমানদের মাঝে ইসলামের পুনর্জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, সমস্যা সংকুল পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষ আজ বুঝতে সক্ষম হয়েছে তাদের শান্তি, কল্যাণ ইসলামেই রয়েছে। এ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের আন্দোলনে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি সিলেট বিভাগের উদ্যোগে সিলেট সরকারী আলিয়া মাদরাসা মাঠে গত ৩১ শে জানুয়ারী বাদ আসর থেকে শুরু হয়া তিন দিনব্যাপী ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির গতকাল ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সমাপনী দিবসে প্রধান অতিথির বয়ান পেশকালে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনদিন ব্যাপী মাহফিলে দেশ বরেণ্য উলামায়ে কেরামগণ বয়ান পেশ করেন। সবশেষ দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে লাখো মানুষের দোয়ার মাধ্যমে উক্ত মহতী মাহফিল সম্পন্ন হয়।
নির্বাহী সম্পাদক