নেপালের কাঠমান্ডুতে প্লেন দুর্ঘটনায় আহত শাহিন ব্যাপারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫০। যার মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি।সোমবার (২৬ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন প্লেন দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় গঠন করা মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. সামন্ত লাল সেন।এর আগে বিকেলে ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের জানান, শাহিন ব্যাপারীর অবস্থা দ্রুত অবনতি হতে থাকলে তাকে দ্রুত লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এরপরও তার সাপোর্ট ঠিকঠাক কাজ করছিলো না।তিনি বলেন, গতকালের একটিসহ তার তিনটি অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। সেফটি সেমিয়ার-এর কারণে তার ব্লিডিং হচ্ছিল। আমরা তার পরিবারকে বিষয়টি জানিয়েছি।
বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আহত কবির হোসেনের ডান পা কেটে ফেলেতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেশে থাকতেই কবির হোসেনের পা কেটে ফেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সিঙ্গাপুরে নেওয়ায় সেটা আর করা হয়নি। সেখানকার ডাক্তারও তার পা কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।আইসিইউ’র সামনে অপেক্ষারত শাহিনের স্ত্রী রিনা আক্তার জানান, গতকাল অস্ত্রোপচারের পর থেকেই তার স্বামীর কথা বন্ধ হয়ে যায়। গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস২১১ ফ্লাইটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৬ বাংলাদেশিসহ মোট ৪৯ যাত্রী নিহত হন। যাত্রীদের মধ্যে শাহিনসহ ১০ বাংলাদেশি বেঁচে যান। শাহিনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনে দাঁড়ালো।নেপালের হাসপাতালে ছয়দিন চিকিৎসার পর গত ১৮ মার্চ শাহিনকে দেশে এনে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। শাহিনের প্রথম দফায় অস্ত্রোপচার হয় বুধবার (২১ মার্চ)। এরপর তার দেহে ইনফেকশন দেখা দেয়।রোববার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শাহিনের দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করা হয়।
বার্তা বিভাগ প্রধান